প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে এক অসাধারণ মসজিদ
সাউথ টাউন মসজিদ, কেরানীগঞ্জ।
বহু আলোচিত, অত্যন্ত পরিপাটি ও গোছানো একতলা একটি মসজিদ।
মসজিদ টি রাজেন্দ্রপুর,বাঘৈর এ সাউথ টাউন প্রকল্পের মধ্যে অবস্থিত!
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সাউথ টাউনের এই মসজিদটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর। আধ বিঘা জমির উপর মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। চারপাশে খোলামেলা জায়গার মাঝে মসজিদটি তার সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে আবাসন প্রকল্পটিতে এখনো সেভাবে জনবসতি গড়ে উঠেনি। তাই মসজিদটিতে মুসুল্লির সংখ্যা এখনো কম। তবে মসজিদের নান্দনিকতার খবর পেয়ে অনেকেই এটি দেখতে আসেন।
সাউথ টাউন এখনো জনবিরল এক এলাকা। চারিদিকে তাকালে শুধু দেখা মিলবে বড় বড় ঘাস আর বিস্তৃত মাঠ। কিছু দূরে দেখা যায় ইটভাটা। সেখানকার শ্রমজীবীরা এই মসজিদে নামায পড়তে আসেন।
একতলা মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় সাড়ে ৬০০ লোক জামাতে নামাজ পড়তে পারেন।
জানা গেল, মসজিদটি তৈরিতে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এতে প্রধান ফটক আছে তিনটি। দুই পাশে আছে আরও দুটি দরজা। চারপাশে প্রচুর জানালা তৈরি করে আলো ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই স্তরের জানালার ফাঁক গলে আসা প্রকৃতির আলোয় ভেতরে চমৎকার এক পরিবেশ তৈরি হয়। জুড়িয়ে যায় চোখ। স্থপতির নন্দনভাবনার শৈলী ফুটে আছে গম্বুজের ভেতরের অংশেও। দিনের আলো ঢোকার ব্যবস্থা আছে সেখানেও।
এর পাশেই মসজিদের ইমাম ও খাদেমদের থাকার জন্যে আলাদা একটি ভবন করা হয়েছে। এই মসজিদ নিয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্পের মসজিদ ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের সব প্রকল্পেই সুন্দর মসজিদ করা হয়েছে। তবে রাজেন্দ্রপুরের মসজিদটি সবচেয়ে সুন্দর।’
নয়াভিরাম সুদৃশ্য এই মসজিদের উদ্যেক্তা হচ্ছেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কর্ণধার মোস্তফা কামাল মঈনুদ্দিন।।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে উঠতে হবে। যেতে হবে আব্দুল্লাহ পুর। আব্দুল্লাহপুরের নতুন কারাগারের একটু পরে হাতের ডান দিকেই সাউথ টাউন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পের প্রধান ফটক থেকে ৮-১০ মিনিট হেঁটে ভেতরে ঢুকতেই দূর থেকে চোখে পড়বে এই মসজিদ।
পোস্তখোলা হয়েও যাওয়া যায়!
©Rahat Ahmed
Comments
Post a Comment