UFO এর সেই ভিডিও তাহলে সত্যি!!
এমহাবিশ্বে আমরা কি একা? কোটি কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের কোনো একটিতেও কি আর কোনো প্রাণের অস্তিত্ব নেই? অনেকেই বিশ্বাস করেন দূরের কোনো গ্রহেও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। এমনকি তারা তাদের মহাকাশ যান নিয়ে পৃথিবীতেও আসে। এসব মহাকাশ যান স্বচক্ষে দেখারও দাবি করেন অনেকে।
গত ২৮ তারিখ পেন্টাগন আনুষ্ঠানিকভাবে তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে ইউএফও অর্থাৎ 'আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট', বাংলায় 'অজ্ঞাতপরিচয় উড়ন্ত বস্তু' দেখা গিয়েছে।
এই ভিডিওগুলি অবশ্য এর আগেই একটি বেসরকারি সংস্থা প্রকাশ করেছিল। তবে সরকারিভাবে ভিডিওগুলি স্বীকৃতি পায়নি বলে, ভিডিওগুলি আসল না নকল, তাই নিয়ে প্রশ্ন ছিল জনমানসে। এদিন সব দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবসান ঘটল। ইনফ্রারেড ক্যামেরায় রেকর্ড করা ভিডিওগুলিতে যে অজ্ঞাতপরিচয় উড়ন্ত বস্তুগুলি-কে দেখা গিয়েছে, তার প্রত্যেকটিই অত্যন্ত দ্রুতগামী। ভিডিওগুলির দুটিতে মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানচালকদের এই গতিতে বিস্মিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে।
নৌবাহিনী এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভিডিওগুলি সত্যি বলে মেনে নিয়েছিল। পেন্টাগনের মুখপাত্র সু গফ জানান, ফুটেজগুলি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে জনমানসে অসীম কৌতূহল তৈরি হয়েছে। অনেকের সন্দেহ ভিডিওগুলিতে হয়তো আরও কিছু রয়েছে। সেইসবের অবসান ঘটানোর জন্য এবং এই সম্পর্কে যাতে কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়, তার জন্য এই ভিডিওগুলির আনুষ্ঠানিক মুক্তি দেওয়া হল।
তার আগে অবশ্য মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে ভিডিও ফুটেজগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে। ভিডিওগুলি প্রকাশ করলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কোনও সংবেদনশীল ক্ষমতা বা তথ্য প্রকাশ পাবে না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই এই ভিডিওগুলির আনুষ্ঠানিক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিও ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে এবং বাকিদুটি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নৌবাহিনীর বিমানচালকরা তুলেছিলেন। গফ আরও জানিয়েছেন, এখন থেকে এই ধরণের 'অজ্ঞাতপরিচয় উড়ন্ত' ব্যাপার অর্থাৎ সম্ভাব্য ইউএফও দেখলে নৌবাহিনীর বিমানচালকদের রিপোর্ট করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮-র মার্চ মাসের মধ্যে এই ভিডিও তিনটি প্রকাশ করেছিল 'দ্য স্টার একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস' নামে এক বেসরকারি সংস্থা, যারা 'ইউএফও' নিয়েই চর্চা করে। ২০১৭ সালেই ওই ভিডিওগুলি রেকর্ড করা পাইলটদের একজন, ইউএস নেভির অবসরপ্রাপ্ত পাইলট ডেভিড ফ্রেভার সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ওই উড়ন্ত বস্তুগুলি এমন মসৃণভাবে উড়ছিল, যা ব্যাখ্যা করা তাঁর সাধ্যের বাইরে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর বিমান ওই বস্তুটির কাছাকাছি আসতেই, দেওয়ালে ধাক্কা লেগে একটি পিংপং বল যেমন উল্টো দিকে ছিটকে যায়, সেইরকম আকস্মিকভাবে সেটি দ্রুত দক্ষিণ দিকে ধাবিত হয়ে, দুই সেকেন্ডেরও কম সময়ে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
Comments
Post a Comment