অভ্যাস না ভালোবাসা (Part_1)


  • রাগ, অভিমান, ভালোবাসা, ঘৃণা, হিংসা এসব নিয়েই মানুষের জীবন। আমরা প্রত্যেকে যেকোনো কারণে রাগ হই আবার ভালোবাসার মানুষটির উপর প্রচন্ড অভিমানও করি। কিছু মানুষ থাকে তাদের লাইফে সবথেকে বেশী ঘৃণা করি কিন্তু কিছু এমন কাছের মানুষ যাকে আমরা একসময় খুব হিংসা করতাম। তেমনি নীরব আর রেখা।

নীরব আর রেখা একই স্কুলে ক্লাস টেনে পড়ে। দুইজনেই সাইন্সের স্টুডেন্ট। লোকে বলে সাইন্সের স্টুডেন্টরা নাকি বেরসিক হয় তারা প্রেম ভালোবাসা বুঝে না। তারা শুধুই পড়াশোনায় ব্যস্ত। নীরব আর রেখাও তাই। দুজনেই মেধাবী তাই পড়াশোনা ছাড়া  কিছু বুঝে না। নীরব বরাবরই ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে আসছে সেই ওয়ান থেকে। কিন্তু নাইনে যখন রেখা এসে ভর্তি হলো তখন যেন নীরবের এক প্রতিদ্বন্দ্বি পেল। নাইনের অর্ধবার্ষিকি পরীক্ষায় রেখা ফার্স্ট হলে তখন থেকে রেখার প্রতি এক হিংসা জন্মায় নীরবের। একই ক্লাসে হওয়ার  কারণে দুজন দুজনের সাথে বন্ধু্র মতোই কথা বলতো কিন্তু নীরবের মনে ছিল রেখার প্রতি অনেক রাগ আর হিংসা।
-এই নীরব?
- হুম!
-তোমার কাছে ফিজিক্স নোটটা আছে?
- হ্যা।
- দেও তো।
- এই যে।
- থ্যাংক ইউ।
- (খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নেই আমার কাছ থেকে আমার পজিশন কেড়ে নিয়ে এখন আবার ঢং করে কথা বলতে আসছে) না না ঠিক আছে।


কোনোদিন নোট তো কোনোদিন বই এভাবেই দুজনের মধ্যে কথা বাড়তে থাকে আর সম্পর্ক ভালো হতে থাকে। কিন্তু নীরবের মনে সেই রাগ থেকেই যায়। যার ফলে সে অন্যভাবে সে প্রতিশোধ নিতে থাকে। কোনোদিন নোট ছিড়ে ফেলা তো কোনোদিন বই লুকিয়ে রাখা। আবার কোনোদিন টিফিন নষ্ট করা তো কথার ছলে চড় বা ঘুষি দেওয়া। এভাবেই চলতে থাকে নীরবের রেখার প্রতি রাগ বা ক্ষোভ মিটানো।
চলবে_

Comments

Popular posts from this blog

গোস্ট অফ কেটু!! পৃথিবীর সবথেকে রহস্যময় ভুতূরে পর্বতশৃঙ্গ 😮😲

কক্সবাজার সেন্টমার্টিন বাজেট ট্যুর।

কে এই ড.জাফর উল্লাহ? আসুন কিছু তথ্য ড. জাফরুল্লাহ সম্পর্কে একটু জেনে নিই।