পৃথিবীর মাটিতে ইউএফও (UFO)
মানুষ বরাবরই কৌতুহলী। মহাকাশ আর মহাকাশের অজানা প্রাণীদের সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল বরাবরই সবোর্চ্চ পর্যায়ে।
আমরা অনেক সিনেমাতেই দেখে থাকি মহাকাশ থেকে গোলাকার এক যানে করে পৃথিবীতে নেমে আসে কিছু প্রাণী। কিন্তু একটা কথা আছে যে সিনেমা কখনও সিনেমা হয়না তা সবই বাস্তবে কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে হয়ে থাকে। এলিয়েন নিয়ে করা সিনেমাগুলোও তার বাইরে নয়।
জি হ্যাঁ পৃথিবীতে সত্যিই তা ঘটে গেছে। সময় ১৯৪৭ সালের ৮ই জুলাই। স্থান আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর রসওয়েল। হঠাৎ প্রচণ্ড বেগে গোল চাকতির মতো একটি বস্তু আকাশ থেকে সেখানে বিকট শব্দে আছড়ে পড়ল।
সেই জায়গাটির প্রচুর মানুষ দৃশ্যটি নিজ চোখে দেখেছে। সবাই ছুটে গেল সেখানে। কিন্তু আগুনের প্রচণ্ড তাপ ফুলকির মতো বের হওয়ার কারণে কাছে ঘেঁষতে পারছিল না কেউ।
কিছুক্ষণ বাদেই বিরাট আর্মির দল এসে জায়গাটি ঘিরে ফেলল। আর্মির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শুধু সাংবাদিকদের জানিয়ে গেলেন, বিরাট চাকতির মতো একটি বস্তু আকাশ থেকে পড়েছে। যেন কোনো আকাশযান। বাকিটা পরে জানতে পারবেন।
পরদিন সব পত্রিকায়ও এ সংক্রান্ত খবর ছাপা হল। তাহলে কি এটা ইউএফও! এলিয়েনরা তাহলে আসলেই পৃথিবীতে চলে এসেছে!
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা বাদেই শুরু হল সরকারি ধোঁকাবাজি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় তারা নতুন করে গল্প ফাঁদতে লাগল। একবার বলল, এটা আর্মিদেরই নতুন আকাশযান।
আবার পরে বলল, এটা নাকি উল্কাপিণ্ড! তারপর আবার ঘোষণা দেওয়া হয় এটি বিমানবাহিনীর একটি পরীক্ষা।
কতিপয় বছরগুলোতে রজওয়েলের বাসিন্দাদের থেকে বিভিন্ন সংবাদ এসেছে বিমান বাহিনী এবং ফেডারেলের সম্বন্ধে। কিছু লোক বলেছিল যে, "কখনও কখনও বিমান বাহিনীর কমর্চারীরা ধ্বংসাবশেষ এবং ফেডারেলের ট্রাকে দেহ (মানুষের না) বহন করে"। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের দ্বারা এগুলো সব অস্বীকার করা হয়েছে। ফলে সত্যটা আর কখনও জানা যায়নি।
তবে রজওয়েলের ঘটনাকে "বিশ্বের সর্বাধিক বিখ্যাত, সবচেয়ে নিখুঁতভাবে তদন্ত করা হয়েছে, এবং ইউএফও প্রত্যক্ষনের দাবির সর্বাধিক প্রমান" হিসাবে বর্ণনা করা হয়। অনেক ইউএফও (UFO) বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ জনগণ মনে করেন যে, এটি একটি ভিনগ্রহী মহাশূন্যযান যা এখানে ধ্বংস হবার পরে এর পাইলটের (এলিয়েন) দেহ পুনরুদ্ধার করে সামরিক বাহিনী তা লুকিয়ে ফেলেছে। মূলত আমেরিকার এরিয়া ৫১ তে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করার যে গুন্জন সারা পৃথিবীতে তা এই ঘটনার ফলেই।
এছাড়া ঠিক ওই সময় একজন নার্স দাবি করেন তাকে রসওয়েলের এয়ার বেস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনটি বডি অটোপসি করার জন্য। তিনি বলেন, তিনটি বডির অটোপসি করি আমি। প্রানির কোনটিও পৃথিবীর নয়, এ ব্যাপারে তিনি শতভাগ নিশ্চিত। তিনি প্রাণী তিনটির বর্ণনা দিয়েছিলেন এভাবে যে, তাদের ওখানে একটা বড় ক্রাস ব্যাগ ছিল যেটির মধ্যে দুমড়ানো মোচড়ানো খুব ছোট ছোট দুটি বডি ছিল। যাদের মাথা দেহের তুলনায় অনেক বড়। তাদের কান ছিল না কিন্তু কানের জায়গায় ছিদ্র ছিল। তাদের নাক ছিল কিন্তু তাদের দাঁত ছিল না। পরবর্তীতে নার্সটিকে অনেক খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছিল যদিও তার কখনো কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এটি প্রমাণিত হলে এয়ার বেস মিলিটারি থেকে বলা হয় যে, তাদের প্রাপ্ত প্রাণীগুলো আসলে একটি এয়ার বেলুনের ড্রাম ছিল। যদিও তারা সন্দেহ দূর করতে গিয়ে আরো সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
রিপোর্ট: শেখ সাইদুর ইসলাম।
Comments
Post a Comment